মেহেরপুর প্রতিনিধি
চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পুরনে স্কুলের শিক্ষকদের ভুলে এসএসসি পরীক্ষার্থী এশার শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বানিজ্যিক বিভাগে পড়া শুনা করে এখন তাকে পরিক্ষা দিতে হচ্ছে কলা বিভাগে। এ বিষয়ে এশার অভিভাবক বারবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে সমাধানের জন্য যেয়েও কোন সদুত্বর পায়নি বলে আভিযোগ করেছ এশার মা সাবানা আক্তার।
ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার নওদা পাড়া গ্রামের এন পি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এমন কান্ডজ্ঞানহীন কর্মকান্ডে হতাশ হয়ে পড়েছে ঐ শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় ঐ শিক্ষার্থীর জীবন থেকে একটি বছর নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এখন চোখের জলে কেঁদে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে এশা।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থী এশা বলেন, এনপি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বানিজ্য বিভাগে পড়াশুনা করে আসছি, নবম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছি বানিজ্য বিভাগে পরিক্ষা দিয়ে। টেস্ট পরিক্ষাও দিয়েছি বানিজ্য বিভাগে । পরিক্ষার এক দিন আগে বিদ্যালয়ে প্রবেশ পত্র নিতে যেয়ে দেখি আমার এডমিড কার্ড এসেছে কলা বিভাগে। বিষয়টি আমি প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি আমাকে আভিভাবক নিয়ে আসতে বলেন।
এশার মা সাবানা আক্তার বলেন, মেয়ের বিভাগ পরিবর্তনের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলামের কাছে গেলে তিনি ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। এত টাকা দেওয়ার সমর্থন আমার নেই জানালে তিনি আমাকে স্কুল থেকে বের করে দেন। বিষয়টি নিয়ে বারাবারি না কার জন্যও হুমকি দেন।
প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, ফরম ফিলামে ভুল হলে সেটা সংশোধন করতে যশোর বোর্ডে যেতে খরচ লাগে। সেই কারনে এশার কাছে কিছু টাকার কথা বলা হয়েছে। এভুলতো বিদ্যালয়ের না, ভুল শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকের।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম শাহা বলেন, বিষয়টি কিছুক্ষন আগে জানতে পেরেছি। শিক্ষার্থীর জীবন যেন ঝরে না পড়ে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
পূর্ববর্তী খবর