মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের মুক্তারের ছেলে মোহাম্মদ লিমন খান কামল ডট কমে বিনিয়োগে উচ্চ লাভের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ৪শ মানুষের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
লিমন খান জেলার বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে প্রচার করে কমল ডটকম নামের এই ওয়েবসাইট বিনিয়োগ করে অনলাইনে দিনে বিজ্ঞাপন দেখে আয় করা যাবে হাজার হাজার টাকা । তবে টাকা আয়ের জন্য এক হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকার মূল্যের প্যাকেজ কিনে সদস্য হতে হবে। প্রতি প্যাকেজে সদস্যদের হাজারে ৪০ টাকা করে লাভ দেওয়া হবে। এই প্রলোভনে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪শ জন ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে।
ভুক্ত ভুগিদের অভিযোগ মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের মুক্তারের ছেলে মোহাম্মদ লিমন খান কিছুদিন আগে ঢাকায় থাকতো। ঢাকায় এই প্রতারক চক্রের সাথে সম্পর্ক হওয়ার পর মেহেরপুরে ফিরে আসে। এর পর লিমন খান বিভিন্ন জনকে লোভনীয় লাভের প্রলোভন দেখিয়ে কমলের প্যাকেজ কিনতে উদ্বুদ্ধ করে। মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় লোভনীয় আফর দিয়ে প্রায় ৪ শ সদস্য করেন। এসকল সদস্য ২ হাজার থেকে ৫ লক্ষ টাকা জমা দিয়ে সদস্য হন। এ বিনিয়োগের পরিমান প্রায় ১০ কোটি টাকার। গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে সাইটটি বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে লাভতো দুরের কথা আসল টাকায় পাচ্ছেনা বিনিয়োগ কারিরা। এদিকে লিমন খানও এর কোন দায় নিতে চাচ্ছেন না।
বাগোয়ান গ্রামের অনেকে জানন একসময় লিমন খানের পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরাতো। সেই লিমন হঠাৎ ঢাকা থেকে ফিরার কিছু দিনের মধ্যে গ্রামে জমি জায়গা কিনেছেন। বেশ কয়েকটি ইজিবাইক কিনে ভাড়াই দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হলেই লিমনের মাধ্যমে আসল এ প্রতারক চক্রকে ধরা সম্ভাব হবে।
ভুক্ত ভুগি আনিসুর বলেন, আমার কয়েকটি একাউন্ট আছে এ একাউন্টে প্রায় লক্ষাধিক টাকা বিনিয়োগ করা আছে । আমি সর্বশেষ গত ২০ ডিসেম্বর ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করি। এসময় বিনিয়োগের আগে আমি মেহেরপুরের দায়িত্ব প্রাপ্ত সিলভার এজেন্ট লিমন খানকে মুঠো ফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি নিশ্চিন্তে আমাকে বিনিয়োগ করতে বলেন। এ বিষয়ে কোন সমস্যা হলে তিনি তার দায়িত্ব নেবেন বলে জানান।
এই বিষয়ে লিমন বলে আমি নয় প্রথমে রতনপুরের ময়নদ্দীন এনেছে। কমল ওয়েবসাইটে এজেন্টের তালিকায় আপনার নাম কেন এমন প্রশ্নের জবাবে লিমন বলে ময়নদ্দীন আমাকে ফুঁসলিয়ে এজেন্ট এর তালিকায় নাম দিয়েছে।
এই বিষযয়ে ময়নদ্দীন বলে আমিও একজন ভুক্তভোগী সদস্য আমি কিছুই জানতাম না লিমন আমাকে বলে প্যাকেজ কিনিয়েছে। আমি নিজেও টাকা জমা ও উত্তোলনের জন্য লিমনের কাছে যেতাম। আমার নিজেরই কয়েক লক্ষটাকা আটকিয়ে গিয়েছে । তিনি আরো বলে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। যারা এসব প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত তাদের সবার বিচার হওয়া উচিত।