মেহেরপুর প্রতিনিধি:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পোস্ট আফিস থেকে সঞ্চয়ের তিন লক্ষ টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে মোনয়ারা খাতুন নামে এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। তবে গাংনী উপজেলা পোস্ট মাস্টার নজরুল ইসলামের দাবি মোনায়ারখাতুনের আত্মীয় সে টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছে।
মনোয়ারা খাতুন জানা, বিগত ২০১৭ সালের জুলায়ে গাংনী উপজেলা পোস্ট অফিসে ৮ লক্ষ টাকার পারিবারিক সঞ্চয় বীমা খোলেন। যার হিসাব নং-১৪৩১,বহিনং-পসপঘ-১০৯৯৩৪৬,পসপঙ-০৯৮০৩০১,পসপচ-০৪৭৫৪৫৮,। লাখ প্রতি ৯১২ টাকা মাসিক মুনাফা উত্তোলন করার কথা থাকলেও অধ্যবধি তিনি কোনো টাকায় উত্তোলন করেননি। কয়েকদিন দিন আগে তিনি পোস্ট অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার হিসাব নম্বর থেকে ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা গায়েব হয়েছে গেছে। টাকা গায়েবের বিষয়ে কারন জানতে চাইলে গড়িমশি করেন পোস্ট মাস্টার নজরুল ইসলাম। আবশেষে তিনি কুপনের মাধ্যমে মনোয়ারা খাতুনের নাতি ডিউক হোসেন এ টাকা উত্তোলন করেছে বলে জানান। তবে তার কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি পোস্ট মাস্টার নজরুল ইসলাম।
ডিউক হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তিনি নানির সঞ্চয় পত্রের নমিনি নন, এবং টাকা উত্তোলনের বিষয়টি তিনি জানেন না। তিনি বলেন আমি টাকা উত্তোলনের প্রমান দেখতে চাইলে তার কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি পোস্ট মাস্টার নজরুল ইসলাম।
মনোয়ারা খাতুন আরো বলেন, আমি সর্বশেষ গতকাাল ৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার পোস্ট অফিসে গিয়েছিলাম। আমাকে পাত্তা দেয়নি। আমার সঞ্চয় পত্র থেকে পোস্ট মাস্টার নজরুল ইসলাম টাকা উত্তোলন করেছে। আমি উক্ত টাকা ফেরত পেতে চাই।
গাংনী উপজেলা পোস্ট মাস্টার নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানো কোন নমুনা স্বাক্ষর সংরক্ষণ করা হয়না। শুধুমাত্র গ্রাহকদের কুপন দেয়া হয়। উক্ত কুপন যিনি আমাদের প্রদান করবেন তিনিই টাকা পাবেন। তবে মনোয়ারা বেগমের নাতি ডিউক টাকা উত্তোলন কেেরছ। উপজেলায় কতজন গ্রাহক এমন সঞ্চয় রেখেছেন তার পরিসংখ্যাণ নেই বলেও জানান নজরুল ইসলাম।
মেহেরপুর জেলা পোস্ট মাস্টার জহুরুল হক রানা বলেন, প্রতিটি সদস্যের রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। এবং প্রতিটি গ্রাহক সঞ্চয় খোলার সময় নমুনা স্বাক্ষর দিয়ে রাখেন। যারা কুপন নিয়ে আসেন তাদের নমুনা স্বাক্ষর যাচাই করা হয়ে থাকে। কুপন হাতে অন্যরা আসলেও মোবাইলের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে কথা বলে নেয়া হয়। টাকা গায়েব হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি এই প্রথম শুনলাম বিষয়টি ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল দেখভাল করেন।
ডেপুৃটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল(কুষ্টিয়া) খন্দকার মাহাবুব হাসেন হোসেনের সাথে অফিসিয়াল টেলিফোনে একধিকবার যোগাযোগ করা হলে টেলিফোন রিসিভ না করাই তার বক্তব্য নেওয়া লেখা সম্ভব হয়নি।
পূর্ববর্তী খবর