গাংনী প্রতিনিধি:
গ্রামীণ ঐতিহ্য ও নতুন প্রজন্মের কাছে হরেক রকমের পিঠার পরিচয় তুলে ধরতে মেহেরপুরের গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে পিঠা উৎসব। আজ বুধবার দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত এ উৎসবে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা ২৩টি স্টল সাজিয়েছিলেন গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী শত রকমের বাহারী ও মুখরোচক পিঠা।
গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজ চত্ত্বরে শুরু হওয়া এ পিঠা উৎসবে ছিল বেশ ভিন্নতা। গ্রামীণ লোকজ ঐতিহ্য নাম ছিল স্টল গুলোর। পিয়াসা, পাটি সাপটা, আন্দসা, চিতই, ভাপা, পুলি, সরু, মালাই রোল, চিটা রুটিসহ ১১১ ধরণের পিঠা সাজানো হয়েছিলো ২৩টি স্টলে।
গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারি অধ্যাপক বাংলা বিভাগ রমজান আলী জানান, ছোট বেলায় মায়েরদের হাতের পিঠা পুলির স্বাদে সময় কাটতো। শীতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পিঠাপুলি তৈরী করা হতো। জামাই আদর ও আত্নীয়তাও করা হতো মুখরোচক ও বাহারী পিঠা দিয়ে। এমন পিঠা উৎসব প্রতিবছরই করা হবে।
কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ খোরশেদ আলম জানান, শীতের শেষের দিকে হলেও আমরা গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহি পিঠা নিয়ে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এ উৎসবে বিলুপ্তি হওয়া সহ নতুন নতুন পিঠা নিয়ে স্টল সাজানো হয়েছে। নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ পিঠা খেতে এসেছেন। আমাদের এই উৎসবে যারা এসেছেন তাদের দাবীর পেক্ষিতে প্রতিবছরই এমন বর্ণাঢ্য আয়োজন হবে। এছাড়াও উৎসবে পিঠা নিয়ে অংশ গ্রহনকারিদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করা হবে।