প্রথম রাজধানী:
মেহেরপুরের গাংনীতে দুটি কমিউনিটি ক্লিনিক সংস্কারের সিকে ভাগ কাজ করেই সম্পুর্ণ বিল তুলে নেওয়ার অভিযোগ। উপসহাকরী প্রকৌশলী ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সহযোগীতায় কাজ শেষ না করেই বিল তুলে পকেটস্থ করেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। স্থানীয়ভাবে ক্লিনিক পরিচালনা পরিষদের সভাপতিরাও জানে না কিভাবে কাজ শেষ না করেই বিল তুলে নিলো। তবে উপসহকারী প্রকৌশলী বলছেন কাজ শেষ করেই বিল দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বামুন্দি ইউনিয়নের ৫ ও ৯ নম্বর ওর্য়াড তেরাইল এবং রামনগর কমিউনিটি ক্লিনিক সংস্কার কাজের টেন্ডার হয়। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবধায়নে কাজটি পেয়েছিলো মেহেরপুরের হালদার পাড়ার আমিনুল হক খান। দুইটি ক্লিনিকের সংস্কার কাজের সিকে ভাগ সম্পন্ন করেই সমস্ত বিল পকেটস্থ করেছেন। এলাকাবাসীর বলছেন কাজ না করেই হয়তো কর্মকর্তাদের যোগসাজশে টাকা তুলে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন।
ক্লিনিকের সভপতিদের দাবি, নলকুপ আগেই স্থাপন করা, পানির লাইন, পানির ট্যাংক, ফ্লাট সোলিং, পানির পাম্প, বাথরুমের কাজ ইতোপূর্বে করা আছে। তাহলে কি কাজ করে দুটি ক্লিনিকের ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৯১৯ টাকা তুলে নিলেন?।একটি ক্লিনিক পরিদর্শন করেই দুটি ক্লিনিকের বিল ভাউচারে স্বাক্ষর করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
রামনগর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি বলেন, ঠিকাদার ফ্লোরে কিছু কাজ করেছে আর একটা সিলিং ফ্যান কিনে দিয়েছেন। একবার স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলো কিন্তু ঠিকাদার আবারও যবুথবু কিছু কাজ করেই চলে গেছে।
তেরাইল কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি বলেন, ছাদের উপরে হাল্কা ঢালায় দিয়েছে, ফ্লোরে টাইলস দিয়েছে এবং তিনটা সিলিং ফ্যান দিয়েছে এবং আমাকে বলেছে পানির ট্যাং পরিষ্কার করে নিতে।
বেশ কয়েকদিন যাবৎ ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রানী জানান, তিনি একটি ক্লিনিক পরিদর্শন করেছেন। উপসহকারী প্রকৌশলী তদারকি করছিলেন তিনি স্বাক্ষর করে দিয়েছেন তাই আমিও স্বাক্ষর করে দিয়েছি।
উপসহকারী প্রকৌশলী হাসান আল মামুন জানান, আমি কাজ দেখেছি। ঠিকাদার কাজ শেষ করে বিল সাবমিট করেছিলো আমি তার বিলে স্বাক্ষর করেছি।
পূর্ববর্তী খবর