মেহেরপুর প্রতিনিধি:
মেহেরপুরের গাংনীতে রাতের আধারে তিন ফসলে জমির মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী টুটুল মোল্লার বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পার্শ্ববর্তী জমির মালিকেরা এ লিখিত অভিযোগ করেন।
স্থানীয় সুত্রে যানা যাই কাজিপুর ইউনিয়ানের বেতবাড়িয়া গ্রামের গুচ্ছ গ্রামের খয়েরতলার মাঠের মাঝখানে হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে টুটুল মোল্লার জোরপূর্বক তার জমিতে মাটি খনন করছেন এতে আশপাশের জমি হুমকির মুখে রয়েছে।
বেতবাড়িয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম জানান, বেতবাড়িয়া ২৪ নং মৌজায় টুটুল মোল্লা তার নিজ জমিতে ভেকু দিয়ে অবৈধভাবে মাটি খনন করছেন। মাটি পার্শ্ববর্তী ভাটায় বিক্রি করছেন। জমির চারিপাশে পাড় বাঁধার জন্য জমে না রেখে তিনি নিজে প্রভাব খাটিয়ে এই মাটি খনন করছেন। আমার জমিসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি জমি ভেঙে পুকুরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে আমার প্রায় ৩০ লক্ষ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
একই এলাকার নুরুল ইসলাম জানান, প্রশাসনের কাছে কোন প্রকার অনুমতি না নিয়েই পেশি শক্তি ব্যবহার করে টুটুল মোল্লা জমি খনন করছেন। এতে আশেপাশের তিন ফসলি জমি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে তাই আমরা বাধ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।
আলাউদ্দিন ও নবীর উদ্দিন জানান, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আধারে পুকুর খনন করছেন টুটুল মোল্লা। ফলে গ্রামবাসীর সাথে যে কোন সময় হতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।
টুটুল মোল্লা জানান, আমি চেয়ারম্যান মেম্বারের মৌখিক অনুমতিতে মাটি খনন কাজ শুরু করেছি। তবে আমি কোন প্রকার লিখিত আবেদন করিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান জানান, উঁচু নিচু জমি সমান করার জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে তবে পুকুর কাটার জন্য নয়। সে যদি পুকুর খনন করে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ রইল।
০৩ নং কাজিপুর ইউপি মু. চেয়ারম্যান আলম হোসাইন জানান, আমি কাউকে মৌখিক বা লিখিত অনুমতি দিইনি। এইসব মাটি বিক্রেতার কারণে দিন দিন আমাদের ফসলি জমিন নষ্ট হচ্ছে আমি প্রশাসনের কাছে উদার আহ্বান তারা এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু জানান, অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমিকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।