গাংনী প্রতিনিধ :
মেহেরপুরের গাংনীতে ৩ অসহায় এর জমি নিজের নামে লিখে নেয়ার অভিযোগ উপজেলাতে তেরাইল গ্রামরে মৃত মীর লুৎফর রহমানের ছেলে ভুয়া আইনজীবী, ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকও বহু বিবাহকারী মীর কামরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে। গতকাল রবিবার ভুক্তভোগীরা গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)নাজমুল আলমের কাছে এ লিখিত অভিযোগ দেন।লিখিত অভিযোগকারীরা হলো, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেরাইল কালুর স্ত্রী রোজিফা খাতুন,রবকুল শাহ্ এর স্ত্রী মারজিয়া খাতুন,মৃত নুরআলীর শাহ্ এর ছেলে আঃমান্নান,আব্দুল মান্নানের স্ত্রী বানুয়ারা খাতুন।
লিখিত অভিযোগ কারি রোজিফা খাতুন জানান,তেরাইল গ্রামের জমীর উদ্দীনে স্ত্রী তহমিনা ২২১০/৯-পি-১/২০১০-১১, তারিখঃ০৪-০৪-১১ইং নাম জারি করে হোল্ডিং খাজনা প্রদান করে আমার কাছে বিক্রি করেন।পরে আমরা জমি ক্রয় করে ৭২০০(1x-1)২০২০-২০২১ নং,তাং-২৮-০২-২১ইং তারিখে ৪৪৪৮ দাগের ০৫শতক খারিজ করে বাড়ি ঘর নির্মাণ করে বসবাস শুরু করি।তিনি আরো জানান,আমি সম্প্রতি জানতে পারি আমার এলাকার মীর কামরুজ্জামান লেলিন ভুয়া জমির দলিল করে
,৪৪৪৮নং দাগের জমি খারিজ করে নিয়েছে।যার নং-২৮৯/৯-পি-১/২০১৪-১৫। এমনকি জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমাকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি ও দিচ্ছে।
লিখিত অভিযোগকারি মারজিয়া খাতুন জানন,গাংনী উপজেলাধীন ৪১নং তেরাইল মৌজার ১৮৮৩নং খতিয়ান ভুক্ত ৪৪৪৯নং দাগের ০৭শতক জমির মধ্যে০৪ ১/৮জমির ক্রয় করে ১৯৬৫/৯-পি-১৯৯৮-৯৯নং নাম জারি করে ১৮৮৩/১নং খতিয়ানে বাড়ি বসত বাড়ি নির্মান করে বসবাস শুরু করি। সম্প্রতি জানতে পেরেছি আমার এলাকার কখনো হাইকোর্টের আইনজীবী,বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের লেকচারার,সাংবাদিক পরিচয় দানকারী মীর কামরুজ্জামান লেলিন ৪৪৪৯নং দাগের জমি ভূয়া দলিল করে।জমির নাম খারিজ করে নিয়েছে যার নং- ২৮৯/৯-পি-১/২০১৪-১৫। বিভিন্ন সময় তার দুলাভাই সাবেক বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের ড্রাইভার গোলাম মোস্তফা বিভিন্ন সময় আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
আরেক লিখিত অভিযোগকারি
বানুয়ারা খাতুন জানান,গাংনী উপজেলাধীন ৪১নং তেরাইল মৌজার ১নং খতিয়ান ভুক্ত ৪৪৫১দাগের ১০শতক ০৪শতক জমি জেলা বন্ধোবস্থ যার কেস নংঃ১৪২/১২/২০০৪-০৫ ও উপজেলা বন্ধোবস্থ কেস নংঃ৫০/১২/২০০৪-০৫ ভূমিহীন হিসাবে ৮৫৮৩নং দলিল মুলে বন্ধোবস্থ নিয়ে গত ১৬/০৩/০৬ ইং তারিখে ৯১/পি-২/২০০৫-০৬ নাম জারি করে বসবাস করে আসছি।কিন্তুু প্রতারক মীর কামরুজ্জামান লেলিনসহ তার পরিবারের লোকজন মেহেপুর জজ আদালতে ১৫৩/২০০৫নং সালে মামলা করে এবং বিজ্ঞ আদালত আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করেন।কিন্তুু রায়ে বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে আপিল করে, যা বিচারাধীন রয়েছে।এমত অবস্থায় মীর কামরুজ্জামান লেলিন ভূয়া জমির কাগজ সৃষ্টি করে নাম জারি করে।তার নংঃ২৯৮/৯-পি-০১/২০১৪-১৫।তিনি আরো জানান,আমি খুব অসহায়। সরকারি খাস জমিতে বসবাস করি। সেটুকু নিজের নামে করে নিয়েছে আমি এখন যাব কোথায়?
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মীর কামরুজ্জামান লেলিন এক সময় তিনি সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। বিভিন্ন অপকর্মের কারণে সেনাবাহিনী থেকে চাকরীচ্যুত হন। এলাকায় এসে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে অন্যের জমি সহ অর্থ দখল করে যাচ্ছেন। এর প্রতিকার চান স্থানীয়রা।
গাংনী উপজেলা নির্বাহি কমিশনার(ভূমি) নাজমুল আলম জানান,৩ জন ভুক্তভোগী এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। দু’পক্ষের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধান করা হবে। যে কেউ প্রতারণা করে থাকে তাহলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।