প্রথম রাজধানী :
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের মাইলমারী গ্রামের পল্লী কবি ছহির উদ্দীন না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন (ইন্না– রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ বাড়ি মাইলমারী গ্রামে মৃত্যুবরণ করেন। গত বুধবার পল্লী কবির সহধর্মিনী টুনুয়ারা খাতুন মারা গেছেন। কবি ছহি উদ্দীন ও তার স্ত্রী কয়েক বছর যাবত বিভিন্ন রােগে ভূগছিলেন। রােগ এবং বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন বলে জানিয়েছে তার নিকট আত্মীয়রা।
শনিবার বিকেল ৩ টায় মাইলমারী গ্রামে কবির জানাজা নামাজ শেষে স্থানীয় গোরস্থান ময়দানে দাফন সম্পন্ন হয়।
পল্লী কবি ছহি উদ্দীনের মেজাে ছেলে মিনারুল ইসলাম জানান, মা মারা যাবার পর, বাবা ভীষণ ভাবে ভেঙে পড়েন। মায়ের শোকেই বাবা মারা গেলেন।
পপল্লী কবি ছহির উদ্দীন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প, ছড়া, কবিতা, গান ও উপন্যাস লিখেছেন। মাইলমারী পদ্ম বিলকে নিয়ে অসংখ্য কবিতা লিখেছেন। নীলকরদের নির্যাতনের সাক্ষী হয়ে এখন বহমান কাজলা নদীকে নিয়ে তিনি গানও লিখেছেন। তিনি ছিলেন বেতার ও টেলিভিশনের একজন গীতিকার। কবিতা,ছড়া ও একাধিক উপন্যাসও লিখেছেন।
অর্থের অভাবে বেশ কিছু উপন্যাস ছাপার অপেক্ষায় রয়েছে। তবে তার আগেই তাকে পৃথিবীকে থেকে চির বিদায় নিতে হলাে।
এদিকে,পল্লী কবি ছহি উদ্দীনের মৃত্যুকে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ শােক প্রকাশ করেছেন।