মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ২২/০৮/২৩ ইং।
মেহেরপুরের গাংনীতে শিক্ষকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রেখে জমি দখল করতে গিয়ে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে পৌর এলাকার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে এর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি গাংনী মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন সহ ২০ জন মারাত্মক আহত হয়।
আহতরা হলেন,শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আফজাল হোসেন,রাকিবুল ইসলাম,রহিদুল ইসলাম,হিজলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আলমগীর হোসেন মিঠু,মিকুশিশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বদিউজ্জামান,শাহিন,আরবিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইমরান হোসেন। অপর পক্ষের আহতরা হলেন,বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ইয়াদ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম,হাবিবুর রহমানের ছেলে মোজাম্মেল হক,ছাবদার আলীর মেয়ে সুমাইয়া খাতুন,হাবিবুর রহমানের ছেলে নিজাম উদ্দীন,হাবিবা খাতুন,সোহেলী খাতুন,মাছুরা খাতুন। আহতদের মধ্যে সোহেলী খাতুনের অবস্থা খারাফ হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে ।
জমির মালিকানা দাবি করে হাবিবুর রহমানের ছেলে কুতুবুদ্দিন জানান, গাংনী পৌর এলাকার বাঁশবাড়িয়া-৪৭ মৌজার ২৭২৭ খতিয়ানের ৪৭৮ দাগের ১৫.৭৫ শতক জমিতে আমরা নিয়মিত খাজনা-খারিজ দলিল ম‚লে দিয়ে বসবাস করে আসছি । ১৯৯৬ তাহলে আমরা জমি বিক্রি করার জন্য ইব্রাহিম মন্ডলের কাছে বায়না করলেও জমি বিক্রি করি নাই। বায়না নামা ধরে ইব্রাহিম ভুয়া দলিল তৈরি করে শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ সদস্যদের কাছে ১৯৯৭ জমিটি বিক্রি করেন। সেই দলিলের স‚ত্র ধরেই শিক্ষক ও কর্মচারীর কল্যাণ সদস্যরা জমিটা নিজেদের বলে দাবি করছেন। জমিটি নিয়ে শিক্ষক কল্যাণ ও কর্মচারীর সমিতির সাথে মেহেরপুর আদালতে মামলা চলমান । মামলা নম্বর দে:১৬০/২০২৩। আদালত শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখার জন্য ১৪৫ ধার জারি করে । ১৪৫ ধার ভঙ্গ করে জমি থেকে আমাদের উচ্ছেদ করলে গেলে আমরা বাঁধা দিলে মহিলা সহ অন্তত ১০ জনকে পিটিয়ে আহত করে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আফজাল হোসেন,গাংনী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড বাঁশবাড়ীয়া গ্রামে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নিজস্ব জমি ও স্থায়ী ভবন রয়েছে। ১৯৯৭ সালে এই জমিটি বিক্রয় কবলা স‚ত্রে ইব্রাহিম মন্ডলের কাছ থেকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ সমিতি ক্রয় করে। ১৯৯৭ সাল থেকে জমিটি আমাদের আয়ত্তে রয়েছে এবং এখান থেকেই আমরা আমাদের সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা করি। কিন্তু হঠাৎ করেই সম্প্রতি ভ‚মি দুস্যদের দ্বারা জায়গাটি দখল হয়। জায়গা দখল মুক্ত গেলে শিক্ষক নেতৃবন্দের উপর হামলা করে বেশ কয়েকজনকে আহত করে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে তিনি সহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনা স্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পূর্ববর্তী খবর