মেহেরপুর প্রতিনিধি :
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালীতে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা রমজান আলী ও তার প্রতিবেশি শহিদুল ইসলামের বাড়িতে দফায় দফায় হামলা করে বাড়িঘর ও আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে।
গ্রামবাসী জানান, সেলিম রেজা শতাধিক লোকজন সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গত মঙ্গল ও বুধবার কয়েক দফায় হামলা চালিয়ে বাড়ির আসবাবপত্র, ঘরের চাল, গেট, বিদ্যুতের মিটার, খাট, গরুর নানদা কুপিয়ে ভাংচুর করেছে। এসময় বাড়ির ৪ নারী সহ ৭ জনকে বেধড়ক পিটানোর অভিযোগ উঠেছে। সেলিম রেজা মুজিবনগর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও একই গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রমজান আলীর ছেলে খায়রুল জানান, সেলিম রেজা আমাদের ঘর ভেঙ্গে রাস্তা করতে চাই। আমরা করতে বাঁধা দেওয়ায় গত দুদিনে লোকজন এনে কয়েক দফা আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। আমাদের মারধর করেছে। আমার প্রতিবেশী চাচা শহিদুল বাঁধা দিলে তার বাড়িও ভাংচুর করা হয়। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার পর আমরা মুজিবনগর থানায় খবর দিলে একদিন পর মুজিবনগর থানার ওসি এসে আমাদের রাস্তা ছেড়ে দিয়ে মিমাংসা করার জন্য চাপ দিচ্ছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আজ মেহেরপুর কোর্টে মামলা দায়ের করছি।
মেহেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আব্দুল মালেক বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা মেহেরপুর জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে বসবো। সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রীকে জানাবো। যদি কোন সমাধান না হয় তাহলে আমরা আন্দোলনে যাবো।
মোনাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বলেন, বহুদিন ধরে পথ নিয়ে ঝামেলা চলছে। এবার একটু বেশী হয়েছে, বাড়িঘর ভাংচুর হয়েছে। আগামী শুক্রবার বিষয়টি বসে মিমাংসা করে দেওয়া হবে। সেলিম রেজা বলেন, আমার নামে কেউ অভিযোগ দিতেই পারে। আর অভিযোগ দিলেইতো তা সত্যি হবেনা।
মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পথ নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। ঘটনার পর আমি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তবে কোন মামলা হয়নি।
পূর্ববর্তী খবর