প্রথম রাজধানী :
মেহেরপুরের মুজিবনগরে মৎস অভয়াশ্রম তৈরিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্ন মানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করে নাম মাত্র অভয়াশ্রম তৈরি অভিযোগ করেছে ভুক্তভ’গিরা। চলতি বছরের ১৫ জুলাই দ্বিতীয় দফার কাজের মেয়াদ শেষ হলেও সেভাবেই পড়ে আছে অভয়াশ্রমটি।
মেহেরপুর জেলা মৎস অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ ২ (এনএটিপি-২) প্রকল্পের আওতায় ৩ লাখ টাকা ব্যায়ে মাছের অবাধ প্রজনন ও সংরক্ষনের জন্য মুজিবনগর উপজেলার দাদপুর বিলের টুপলার অংশে প্রায় ১ হেক্টর জলাশয়ের উপর মৎস অভয়াশ্রম তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। সে অনুযায়ি কোটেশনের মাধ্যমে কুষ্টিয়া জেলার রেজাউল হক নামের এক ঠিকাদারকে অভয়াশ্রম তৈরির কাজ দেওয়া হয়। সেই সাথে তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয় মুজিবনগর উপজেলা মৎস অধিদপ্তরের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নাজমুস শাকিবকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে পারিনি ঠিকাদার। পরে নাম মাত্র অভয়াশ্রম তৈরি করে কাজ শেষ বলে দাবি করে ঠিকাদার।
দাদপুর বিলের টুপলার অংশের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, মৎস অভয়াশ্রম তৈরির জন্য ২৫ বর্গ ইঞ্চি মোটা ও ১৫ ফিট উচ্চার ১২ টি উন্নত মানের আরসিসি পিলার দেওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে দেওয়া হয়েছে নির্ধারিত পরিমাপের চেয়ে কম ও নিম্ন মানের অডনারি আরসিসি পিলার। এছাড়াও ১৯ ফিট সাইজের ১ হাজার ৯০ পিচ বাঁশ ও তেতুল, বরই, আম ও জাম গাছের সাইজ ডালপালা ব্যবহার করার কথা থাকলেও ব্যবহার করা হয়েছে কম উচ্চতার বাঁশ ও বিলের আশেপাশের ঝোপঝাড়।৩০০ বাই ৪৫০ মিলিমিটার ১শ পিচ লাল ফ্লাগ দেওয়াার কথা কিন্তু দেওয়া হয়েছে ছোট ছোট ৪ পিচ। উপজেলা মৎস অধিদপ্তরের তদারকির পরও কেন এমন অনিয়ম হলো তার তদন্ত হওয়া উচিৎ।
এ বিলের উপকারভোগী শ্রী আনন্দ হালদার বলেন, অভয়াশ্রম তৈরিতে নির্ধারিত এস্টিমেটের চার ভাগের একভাগ কাজ হয়েছে। আমরা বার বার বলার পরও সঠিকভাবে কাজ করেনি টিকাদার। সেই সাথে উপজেলা মৎস অফিসেরও কাজের ব্যপারে তেমন কোন তদারকি ছিলনা বলে দাবি করেন তিনি।
অভয়াশ্রম তৈরিতে অনিয়মের কথা স্বিকার করে মুজিবনগর উপজেলা মৎস কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, মৎস অভয়াশ্রম তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা পরিদর্শনে আসে। পুনরায় সঠিকভাবে অভয়াশ্রমটি তৈরির নির্দেশ দেন। কিন্তু ঠিকাদার অসুস্থ থাকায় এখনো কাজ শেষ হয়নি।
ঠিকাদার রেজাউল হক মোবাইল ফোনে জানান, আমার যখন সময় হবে তখন আমি কাজ করবো।
মেহেরপুর জেলা মৎস কর্মকর্তা রোকোনুজ্জামান বলেন, আমরা ঠিকাদারের কাজের বিল দেওয়া বন্ধ রেখেছি। সঠিকভাবে কাজ না হওয়া পর্যন্ত ঠিকাদারকে বিল দেওয়া হবে না।
পূর্ববর্তী খবর