প্রথম রাজধানী:
মেহেরপুর আন্ত:জেলা বাস মিনিবাস সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ ২ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে ্ক্ষতার দাপট দেখিয়ে ১৮ বছর ধরে জোর পূর্বক ক্ষমতা ধরে রেখেছে। কমিটির বিরুদ্ধে একাধিকবার শ্রম অধিদপ্তরে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ করেছে সাধারন সদস্যরা। এদিকে শ্রম আধিদপ্তরের খুলনা রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়নও একাধিক বার সমিতির নির্বাহি পরিষদকে অভিযোগগুলো সমাধানের জন্য পত্র দিলেও কোন গুরুত্ব দেননি সমিতির নির্বাহী পরিষদ। তার পরও গত ১৬ বছর কোন নির্বাচন ও হিসাব নিকাশ দেয়নি কমিটির সভাপতি জহিরুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক গোলাম রসুল। তবে নির্বাহী পরিষদের দাবি সবকিছুই হচ্ছে সমিতির সাধারণ সদস্যদের মতা মতের ভিত্তিতে।
সমিতির সাধারন সদস্যদের আভিযোগ গত ২০০৫ সালে আন্ত:জেলা বাস মিনিবাস সমিতির ১১ সদস্যর কার্যনির্বাহী পরিষদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে ওই কমিটি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ক্ষমতা ধরে রেখেছে। নির্বাহী কমিটির কয়েকজন সদস্য মারা গিয়েছে, আবার কেউ কেউ পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। সেই সকল শূন্য পদে সমিতির সভাপতি জহিরুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক গোলামরসুল নিজেদের পছন্দের লোককে বসিয়েছে। সমিতির কয়েক কোটি টাকার আয়-ব্যায়ের কোন হিসেব নেই। দখিল করা হয়নি বার্ষিক আয়কর রিটান। গত ১৬ বছরে একটিও হয়নি সাধারণ সভা। এছাড়াও মেহেরপুর বার্স টার্মিনাল প্রতি বছর সমিতি ইজারা নিলেও কতটাকায় ইজারা নিয়েছে তা সভাপতি জহিরুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক গোলাসম রসুল ছাড়া কোন সদস্যকে জানানো হয়নি। এ টর্মিনাল গোলাম রসুলের ভাতিজা মাহফুজুর রহমান পোলেনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
আন্ত:জেলা বাস মিনিবাস সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, দির্ঘ ১৬ বছর ধরে আমরা বার বার নির্বাচনের কথা বললেও বর্তমান নির্বাহী কমিটি কানে তুলেনি। বিষয়টি আমরা লিখিত ভাবে খুলনা বিভাগিয় শ্রম অধিদপ্তর কার্যালয়ে জানিয়েছি। শ্রম আধিদপ্তর নির্বাচন ও বার্ষিক হিসাবের জন্য চিঠি দিলেও রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাবে সে চিঠির কোন গুরুত্ব দেইনি। গত ১৬ বছর আমরা আয় ব্যায়ের কোন হিসাব পাইনি। হিসাব চাইলেই আমাদেরকে কমিটির বিভিন্ন হুমকীর মুখে পড়তে হয়।
কোষাধক্ষ্য রেজানুর রহমান খোকন বলেন, আমি নির্বাচিত কোষাধক্ষ্য নই। সভাপতি সম্পাদক আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। তবে আয় ব্যায়ের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
মেহেরপুর আন্তজেলা বাস ও মিনিবাস সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে একাধিক বার ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। তবে সমিতির সহ সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, রাজনৈতিক কারণে গত ১৬ বছর নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন আসলেই সদস্যরা সভাপতি সম্পাদককে তাদের মতো করে কমিটি সাজিয়ে নিতে বলতো। তবে নির্বাচনের বিষয়ে গত ২১ আগস্ট একটি সভা হয়েছে। বিষয়টি শ্রম অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। তারা চিঠির জবাব দিলে আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নেব। এর চেয়ে বেশি কিছু জানাতে পারবো না।
শ্রম অধিদপ্তরের খুলনা রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়নের পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আমরা একাধিকবার চিঠি দিয়েছি এই কমিটি কোন কর্নপাত করেনি। আমাদের ক্ষমতা চিঠি দেওয়া পর্যন্ত। তবে মালিক সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ সদস্যরা ইচ্ছা করলে এই কমিটির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে পারে। অনাস্থা আনলে তখন আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবো।
পূর্ববর্তী খবর