মেহেরপুর প্রতিন:
মহেরেপুর সদররে উজলপুর গ্রামে একাধকি ব্যক্তি সাপে কাটার শকিার হওয়ায় গ্রামজুড়ে সাপ আতঙ্ক বরিাজ করছেএকটি র্স্বাথান্বষেী চক্র নানা গুজব ছড়িয়ে এ আতঙ্ককে বাড়য়িে দয়িছে। প্রচার পয়েছে দুই সপ্তাহে প্রায় ৩৫/৪০ জনকে সাপে কটেছে।গত ১২ মে শেষ রাত্রে কামাল হোসেনের শিশু পুত্র মুরসেলিন কে সাপে কামড়ায়। এর বেশ কিছুক্ষণপর মুরসেলিন বিষয়টি তার বাবা মাকে জানান। তার বাবা মা তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে হাসপাতালেল চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এর ১ দিন পর মাঠে কাজ করার সময় হেলাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে সাপে কাটে। তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয় কয়েকদিন চিকৎসা নিয়ে সে সুস্থ হয়। এর দুদিন পর সকাল ১ টার দিকে উজুলপুর কুঠিপাড়ার চাঁদনি বেগমের হাতে কোন কিছুতে কামড় দেয়। বিকালের দিকে তার জ্বালাপোড়া শুর হয়। এরপর পাশ্ববর্তি শোলমারি গ্রামের হাসেম আলী ও রতন উঝার ঝার ফুকে সে ভালো হয়। এভাবে সুলতানা টিপু মনিসহ প্রায় ৩৫/৪০ জনকে সাপে কেটেছে বলে গ্রামবাসীর দাবি। তবে এ পযন্ত কেউ কোন সাপ দেখেনি বলেও তারা জানান।
গ্রামের চাঁদনি বেগম বলেন এই গ্রামে প্রথম আমাকে সাপে কাটে। সকাল ১১ টার দিকে আমাকে কোন কিছুতে কামড় দেয়। বিকালের পর থেকে আমার পা ঝিনঝিন করতে থাকে। সন্ধ্যায় আমার স্বামী আমাকে শোল মারি গ্রামের হাসেম আলী উঝার কাছে নিয়ে যায়। উঝা বলে আমাকে সাপে কেটেছে। তারপর তার ঝাড়ি ফুকে আমি সুস্থ হয়।
একই গ্রামের নুর আলী বলেন, আমাকেও সাপে কেটেছে। বুকে শাপে কাটার দাগ এখনো আছে। হাসেম আলী উঝার কাছে ঝ্ড়াফুকের পর সুস্থ হয়েছি। সন্তান পরিবার নিয়ে নিরাপদে থাকতে ওঝার কাছ থেকে কার পড়া নিয়েছি। তিনি আরো বলেন সাপের কামড়ে যদি বিষ থাকে তাহলে ওঝাদের ৫শ টাকা আর না থাকলে ৩শ টাকা দিতে হচ্ছে।
কতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যেন সেলিম রোজা বলেন সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যুর একদিন পর আরো একজনকে সাপে কামড়ানোয় গ্রামে আতংক সহ গুজোব ছড়ানো হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে এই গুজবের বিরুদ্ধে প্রচার প্রচারনা শুর করেছি। গ্রামবাসিকে সচেতন করে তুলতে চেষ্টা করছি।
মেহেরপুর সিভল সার্জেন ( ভারপ্রাপ্ত) ডা. অলোক কুমার দাস বলেন, ইতি মধ্যে আমি সহ উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের একটি দল গ্রামটি পরিদর্শন করেছি। এ অতংকের কোন সত্যতা আমরা পাইনি। তবে একটি চক্র গ্রামে অতংক ছড়িয়ে ফয়দা লুটছে। আমরা তাদের প্রাথমিক ভাবে সনাক্ত করেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া একটি মেডিকিল টিমও উজলপুর গ্রামে মানুষের মনবল ধরে রাখতে সর্বক্ষনিক কাজ করছে।