মেহেরপুর প্রতিনিধি; 08-01-2023
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুরের দুটি আসনে নৌকা ও ট্রাক প্রতীক ছাড়া অন্য সব প্রার্থীরা জামানত হারিয়েছেন । মেহেরপুর-১ আসনে ৪ জন এবং মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে ৫ জন প্রার্থী জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
নিয়ামানুযায়ী মোট কাস্টিং ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
মেহেরপুর-১ (সদর-মুজিবনগর) আসনে ৩ লাখ ৩৭ জন ভোটারের মধ্যে প্রদত্ত (কাস্টিং) ভোট ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৪১। জামানত ফিরে পেতে কাস্টিং ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ হিসেবে একজন প্রার্থীকে সর্বনিন্ম ১৯ হাজার ৯৪৩ ভোট পেতে হবে।
ফলাফলে দেখা গেছে মেহেরপুর-১ আাসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন (নৌকা) ৯৪ হাজার ৩০৩ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আব্দুল মান্নান (ট্রাক) ৫৭ হাজার ৬৮২ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীন (ঈগল) ১ হাজার ৪৪০ ভোট। জাতীয় পার্টি প্রার্থী আব্দুল হামিদ (লাঙ্গল) ৮২০ ভোট। ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) প্রার্থী তারিকুল ইসলাম লিটন (আম) ৪৫৯ ভোট এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট প্রার্থী বাবুল জম (ছড়ি) প্রতীকে ২৪১ ভোট পেয়েছেন। কাস্টিং ভোটের শতাংশ হিসেবে চার প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে মোট ২ লাখ ৫৫ হাজার ৯২৯ ভোটের মধ্যে প্রদত্ত ভোট ১ লাখ ২৮ হাজার ৪১১। কাস্টিং ভোটের হিসেবে জামানত ফিরে পেতে একজন প্রার্থীকে সর্বনিন্ম ১৬ হাজার ৫২ ভোট পেতে হবে।
এ আসনটিতে ৭ জন প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডাঃ আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক সাগর (নৌকা) ৭২ হাজার ৭২৮ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি মকবুল হোসেন (ট্রাক) ৪৯ হাজার ৫৯৩ ভোট। জাতীয় পার্টি প্রার্থী কেতাব আলী (লাঙ্গল) ৮৯৬ ভোট। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট প্রার্থী শাহ জামাল (ছড়ি) ২৯৪ ভোট। বিএনপির সাবেক এমপি তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী আব্দুল গনি (সোনালী আঁশ) ২৯১ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী আল ফারুক (ডাব) ২৭৩ ভোট এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি প্রার্থী গোলাম রসুল (আম) ২০৮টি ভোট পেয়েছেন। কাস্টিং ভোটের হিসেবে অনুযায়ী এ আসনটিতে পাঁচ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে এক জন প্রার্থীর জামানত জমা ছিল ২০ হাজার টাকা। মেহেরপুর-১ আসনের চার জন এবং মেহেরপুর-২(গাংনী) আসনের পাঁচ প্রার্থীর ওই জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী এ অর্থ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে।